মানুষ অন্যায় করে আবার ক্ষমা চায়। ক্ষমার দরজা খোলা রেখেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কারো ব্যাপারে ঘোষণা করেন যে, ওমুক, ওমুক জান্নাতে যেতে পারবে না। তখন তা হয়ে যায় ভয়াবহ হুশিয়ারি। সুতরাং যে সব কাজে জান্নাত হারাম তা থেকে বেঁচে থাকা উচিত। যে কাজে জান্নাত হারাম তা জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন শ্রেণীর মানুষের উপর আল্লাহর জান্নাত হারাম অর্থাৎ এই তিন শ্রেণীর মানুষ কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
০১. মাদকদ্রব্য গ্রহণকারী
যারা নেশাগ্রস্ত এবং মাদক-দ্রব্য পান বা গ্রহণ করে। যা ইসলামে হারাম ঘোষণা করেছেন। তাই যে কোনো প্রকারের নেশাই বর্জন করা উচিত। কারণ নেশা বা মাদক গ্রহণ করলে দেহ অপবিত্র হয়ে যাবে আর এই অপবিত্র দেহ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
০২. অবাধ্য সন্তান
পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান। এই শ্রেণীভূক্ত মানুষরাও জান্নাতে যাবে না। যার ওপর পিতা-মাতা অসন্তুষ্ট তার জন্য জান্নাত হারাম। তাই মৃত্যু পর্যন্ত পিতা-মাতার খেদমত করতেই হবে। পিতা-মাতাকে কোনোভাবেই ত্যাগ করা যাবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিস্কারভাবে বলেছেন, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পিতা-মাতার অনুগত ও বাধ্য সন্তান হিসেবে কবুল করুন।
০৩. দাইয়্যুস
দাইয়্যুস ঐ ব্যক্তি, যে তার পরিবারে পর্দা প্রথা চালু রাখেনি। পরিবারের সদ্যসের মাঝে বেপর্দা ছিলো, বেহায়াপনা ছিলো কিন্তু সে তাতে বাধা প্রদান করেনি। পরিবারের কর্তা হিসেবে বেপর্দা-বেহায়াপনা বন্ধ না করার জন্য এই শাস্তি পাবে সে। তিনি যত বড় ইবাদতকারী আর তাহাজ্জুদ গুজার ব্যক্তিই হোক না কেন, যত দান-সাদকাই করুন না কেন, তিনি যদি পরিবারের কর্তা ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন না করেন, তবে তার জন্য জান্নাত হারাম। সুতরাং পরিবারের কর্তা ব্যক্তির উচিৎ পরিবারে পর্দার বাস্তবায়ন করা। যে বেপর্দায় চলে, সেও হয় দাইয়্যুস। হোক পুরুষ আর নারী। আর দাইয়্যুস জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।